লিহাই চাইনা

ই কি চলছ্যে মাগো দুনিয়াটাতে
আমি ত কনহই ব্যুঝতে লারছি!
বন বন শন শন কর‍্যে আকাশে উড়ছ্যে জাহাজ
আর উপর থাইকেই ফেলে দিছ্যে ধড়াস ধড়াস বোমাগুলি
বারুদের ধুঁয়ায় চারদিক ট আঁধার হয়্যে যাছ্যে!
সেই কুঁখড়া লড়াই -এর মতন।
ই আগাছ্যে ত উ পিছাছ্যে – উ আগাছ্যে ত ই পিছাছ্যে
শেষে যা হবার তাই হছ্যে।

কখনো রুশবাহিনী লেতাড়্যে মারছ্যে
আর কখনও ইউক্রেনও লেতাড়্যে লেতাড়্যে কাঁপাই দিছ্যে,
লিহাইটকে লাগায় দিয়্যে গলাটাকে ফাইড়ে
ঠাণ্ডা ঘরে বস্যে মন্ত্রীগুলান ভাষণ মারছ্যে,
বল্যছে লিহাই চলছ্যে চলব্যেক
ই লিহাই বাঁচার লিহাই — ই লিহাই সম্মানের লিহাই!
আমি বলছি গো আমি! চিন্‌তে লারছ্য?
সেই কাশ্মীরের যুদ্ধে আমার সোয়ামি মরল্য নাই,
উহার বউ! দু-ছেলার মা আমি!
বলি লিহাই মানেই ত শত শত সেনার মরণ
হাজার হাজার সরল সাদা মানুষের মরণ।
আমার মতন কত জুয়ান বউ বিধবা হবেক,
কত মায়ের বুক ফাট্যে যাবেক
কত সন্তান বাবা হারা হয়ে অনাথ হবেক।
সাধারণ মানুষের বুকে কান পাত্যে শুন – ইসব লিহাই কেউ চাই নায়
আর বলি এত লিহাই লিহাই-এর কি দরকার
সবাই বস্যে আলোচনা কর‍্যে সব মিটাই লাও।
তবেই ত সব ল্যাঠা চু’কে যাবেক।
ই সেই রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়
উলুখাগড়ার পেরান যায়।
আর রাজাদেরই বা বলব্য কি! উহারাও ত পুথ্যুল বঠে
খেলাটা ত খেলছ্যে মহারাজা
যে পর্দার আড়ালে মু-টা ঢুকাই
মুচকি মুচকি হাস্যে মচে তাও দিছ্যে।
আর সেই বতরে গুচ্চ্যেক শয়তান দূর থাইকেলেই –
আড় বাঁশিতে ফুঁ দিছ্যে আর হুঁকরাছ্যে।
কখনও কখনও শয়তানে শয়তানেও কলাকুলি করছ্যে ।

আমি আইজ্ঞা সোয়ামি হারার যন্ত্রণা বুঝি
বুঝি বাপহারা শিশুর আঙরার মতন কলিজার বেদনা
আমি ঠাওর করেছি ব্যাটা হারা বাপের আগ্যুড়কুনে বস্যে
হুঁকরি পিঠে কাঁদনা
ঠাওর করেছি ব্যাটাহারা মায়ের আঁচল ঢাকা গুমরে মরার জ্বালা
আর ভাই হারা দাদার বুকদাবড়ি গোঙানি ।

দাদা হারা বহিনের সরল মুহের আর্তনাদ
আমার বুকের পাঁজরা গুলাকে দমাড়্যে মচাড়্যে ভাইঙে দিয়েছে আইজ্ঞা
তাই হাত জোড় কর‍্যে মাথাটা নুয়াই
সবার কাছে লেহর করছি-
বন্ধ কর , বন্ধ কর ইসব মরণ খেলা
বন্ধ কর এমন ধ্বংস লীলা
লাক লাক মানুষের কণ্ঠস্বরকে এক করে আমি আঁড়রাই আঁড়রাই বলছি
শান্তি চাই- আমরা শান্তি চাই
আস্য সমস্ত মানুষ অশান্তির আগুনে
লদির মতন মনটা থাইকে এক আঁঝলা জল ঢাল্যে
শান্তির পতাকাটা পত্‌ পত্‌ করে উড়াই দিই!